বিমান বন্দরে করণীয় কি ?

 



বিদেশ যাত্রা: সহজ ও নিরাপদে

বিদেশ যাত্রার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অনেকেরই মনে হয়, "কী কী নেব, কীভাবে যাব?" এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এই লেখা।

যাত্রার আগে প্রস্তুতি:

  • ব্যাগপ্যাকিং:
    • ক্যারি-অন ব্যাগ: এই ব্যাগে রাখুন: পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট, মূল্যবান জিনিসপত্র, ওষুধ, চার্জার, একটি হালকা জ্যাকেট, এবং একটি ছোট্ট টয়লেট্রি ব্যাগ।
    • চেক-ইন ব্যাগ: বাকি সব জিনিস এখানে রাখুন। মনে রাখবেন, বেশিরভাগ এয়ারলাইন ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন সীমা নির্ধারণ করে।
    • টীপ: ব্যাগে নাম, ঠিকানা, এবং ফোন নাম্বার লেখে রাখুন। যাত্রাপথে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে এটি খুবই কাজে লাগবে।
  • কাগজপত্র:
    • পাসপোর্ট এবং ভিসা: নিশ্চিত হোন যে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস বাকি আছে।
    • টিকিট: ইলেকট্রনিক বা প্রিন্ট করা টিকিট সাথে রাখুন।
    • ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট: যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট সাথে রাখুন।

বিমান যাত্রা:

  • এয়ারপোর্টে:
    • সময়মতো এয়ারপোর্টে পৌঁছান।
    • সিকিউরিটি চেকপয়েন্টে সবকিছু সঠিকভাবে রাখুন।
    • নিষিদ্ধ জিনিসপত্র: ধারালো বস্তু, তরল পদার্থ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, এবং নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য বহন করা নিষিদ্ধ।
  • বিমানে:
    • নিজের আসন খুঁজে বসুন এবং সিটবেল্ট বেঁধে রাখুন।
    • বিমানের নির্দেশাবলী মেনে চলুন।
    • বিমানের খাবার এবং পানীয় উপভোগ করুন।
    • মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের নিয়ম মেনে চলুন।

গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো:

  • ইমিগ্রেশন:
    • ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে যান এবং আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা দেখান।
    • অফিসারের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিন।
  • ব্যাগ সংগ্রহ:
    • ব্যাগেজ ক্লেইম এলাকায় যান এবং আপনার ব্যাগ সংগ্রহ করুন।
  • কাষ্টমস:
    • কাস্টমস অফিসারের সামনে যান এবং আপনার কাষ্টমস ডিক্লারেশন ফরম দেখান।

বিদেশে থাকাকালীন:

  • সুরক্ষা:
    • নিরাপদ জায়গায় থাকুন এবং অপরিচিত লোকদের সাথে বেশি কথা বলবেন না।
    • আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নিজের কাছে রাখুন।
  • স্বাস্থ্য:
    • স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
    • যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে স্থানীয় হাসপাতালে যান।

বিঃদ্রঃ: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য সাধারণ ধারণার জন্য। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার ভ্রমণ এজেন্ট বা দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন।


Previous
Next Post »